পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
সুনামগঞ্জের ছাতকের পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হেনার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টিউশন বানিজ্য, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি, ভূয়া এজেন্ট, ভূয়া ভাউচার, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্যের দেওয়া বিভিন্ন অনুদানের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ এনে গেল ৩ ফেব্রুয়ারী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের লক্ষমসোম গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদ সাদিক নামের এক ব্যক্তি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম-দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাত করে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক আবু হেনা। মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন না মেনে, ভূয়া এজেন্ট, ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের বিপুল পরিমান অর্থ তিনি আত্মসাত করেছেন। গেল ২০২৩ সালের ২১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক মূলে পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস স্কিম এর আওতায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান এর পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অধিকাংশ টাকা আত্মসাত করেছেন। বিদ্যালয়ে দেওয়া জেলা পরিষদ ও সাবেক এমপির বিভিন্ন অনুদানের টাকা কোন খাতে খরচ না করে তিনি নিজেই আত্মসাত করেছেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ এর ধারা লঙ্ঘন করে বিগত বছরগুলোতে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ৪০ বছরের পুরনো আনুমানিক ১০০টি বড় গাছ বিধিবহির্ভূত ভাবে কর্তন করে বিক্রির টাকাও আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু হেনা অনিয়ম-দূর্নীতির এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয় নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য ইতিমধ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে