ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া, ক্ষুব্ধ বেইজিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া

দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশসীমায় যৌথ মহড়া পরিচালনা করেছে ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিতর্কিত এলাকায় সামরিক টহল দিয়েছে বেইজিং।

ফিলিপাইন বিমান বাহিনীর মুখপাত্র মারিয়া কনসুয়েলো কাসতিলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে মঙ্গলবার একদিনের এই মহড়া চালানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অনুযায়ী, দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অংশ ম্যানিলার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন বা ইইজেড) আওতাভুক্ত।খবর রয়টার্সের।

কাসতিলো আরও বলেছেন, দুদেশের বিমান বাহিনীর অভিযান পরিচালনায় কার্যকর সমন্বয় বৃদ্ধি, আকাশসীমায় সতর্কতা উন্নতকরণ এবং যুদ্ধ সক্ষমতা জোরদার করতে এই মহড়া চালানো হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ জানিয়ে বেইজিং বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহড়া পরিচালনা করেছে ম্যানিলা।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে কোনও সামরিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং সামুদ্রিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখবে চীনা বিমান বাহিনী।

দক্ষিণ চীন সাগর কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখান দিয়ে বছরে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলের উপকূলীয় দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের দাবিকে উপেক্ষা করে সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপডেট : ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১০ বার

ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া, ক্ষুব্ধ বেইজিং

আপডেট : ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশসীমায় যৌথ মহড়া পরিচালনা করেছে ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিতর্কিত এলাকায় সামরিক টহল দিয়েছে বেইজিং।

ফিলিপাইন বিমান বাহিনীর মুখপাত্র মারিয়া কনসুয়েলো কাসতিলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে মঙ্গলবার একদিনের এই মহড়া চালানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অনুযায়ী, দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অংশ ম্যানিলার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন বা ইইজেড) আওতাভুক্ত।খবর রয়টার্সের।

কাসতিলো আরও বলেছেন, দুদেশের বিমান বাহিনীর অভিযান পরিচালনায় কার্যকর সমন্বয় বৃদ্ধি, আকাশসীমায় সতর্কতা উন্নতকরণ এবং যুদ্ধ সক্ষমতা জোরদার করতে এই মহড়া চালানো হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ জানিয়ে বেইজিং বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহড়া পরিচালনা করেছে ম্যানিলা।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে কোনও সামরিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং সামুদ্রিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখবে চীনা বিমান বাহিনী।

দক্ষিণ চীন সাগর কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখান দিয়ে বছরে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলের উপকূলীয় দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের দাবিকে উপেক্ষা করে সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন।