ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা হতে না পারায় শাশুড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার অভিযোগ

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মুক্তবাংলা ডেস্ক

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পিরোজপুরের নেছারাবাদে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সন্তানের মা হতে না পারায় শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত গৃহবধূর নাম রাজিয়া আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার পশ্চিম ইলুহার গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী।

গৃহবধূর বাবা অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাজিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পেটে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। অস্ত্রোপচারের কারণে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর চেষ্টা করেও তিনি আর মা হতে পারেননি। এ কারণে তাঁর শাশুড়ি সব সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এ নিয়ে মেয়ের সংসারে প্রায় কলহ লেগে থাকত।

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন রোববার দুপুরে একবার মোবাইল ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। পরে বিকেলে জানতে পারি শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। শাশুড়ির নির্যাতনে মেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’

নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমীন বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপডেট : ০১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১২ বার

মা হতে না পারায় শাশুড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার অভিযোগ

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট : ০১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পিরোজপুরের নেছারাবাদে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সন্তানের মা হতে না পারায় শাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত গৃহবধূর নাম রাজিয়া আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার পশ্চিম ইলুহার গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী।

গৃহবধূর বাবা অভিযোগ করে বলেন, পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাজিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পেটে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। অস্ত্রোপচারের কারণে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর চেষ্টা করেও তিনি আর মা হতে পারেননি। এ কারণে তাঁর শাশুড়ি সব সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করত। এ নিয়ে মেয়ের সংসারে প্রায় কলহ লেগে থাকত।

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন রোববার দুপুরে একবার মোবাইল ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। পরে বিকেলে জানতে পারি শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। শাশুড়ির নির্যাতনে মেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’

নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমীন বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।